এখানে জীবন


এখানে জীবন বড়ই কষ্টের
সবটাই আজ দখলে নষ্টের
চারিদিকে শব্দ মাতালের,
শরীর ভেঁজা ঘাম
পায়না ঈপ্সিত দাম
অট্টহাসি দাঁতালের।

তারই মাঝে কেউ কেউ
ডেকে উঠে ঘেউ ঘেউ
সকল শৃংখল ভেঙ্গে,
সকাল থেকে মধ্যরাত
বুকে রেখে বলিষ্ট হাত
বিদ্রোহের ব্যানার ঝুলায় অঙ্গে।

মানুষ মুক্তি চায়
কভূ কি পায়?
তবু মুক্তির স্বপ্ন দেখে,
ব্যথাতুর ব্যর্থ স্বজন
জীবনের করে নানা আয়োজন
আগামীর স্বপ্ন আঁকে।

এরই নাম ভালবাসা

চুপি চুপি ভাললাগা
বিনিদ্র রাত্রি জাগা
কল্পনায় কাছে আসা
এরই নাম ভালবাসা।

প্রেয়সীরে চিঠি লেখা
স্বপ্নেও তারে দেখা
দু'জনের উন্মুক্ত মেলামেশা
এরই নাম ভালবাসা।

মনটা উড়ু উড়ু হওয়া
কোকিল হয়ে গান গাওয়া
সন্ধ্যায় নীড়ে আসা
এরই নাম ভালবাসা।

হৃদয়ের রক্তরণ
কামনায় উন্মুক্ত বসন
ভ্রমর হয়ে ফুলে বসা
এরই নাম ভালবাসা।

পৃথিবীর বয়স বাড়ে

পৃথিবীর বয়স বাড়ে;বাড়ে আমারও
হৃদয়ে বাড়ে আগুন;বাড়ে হাহাকারও
সূযর্্য ঢলে পড়ে;সন্ধ্যা আসে
দুঃখ গুলো মুচকি হাসে
বেঁচে আছি তবুও।

বুকে বাঁধা যন্ত্রণা স্ফুলিঙ্গ
সবাই পালায়;পালাও তুমিও
আমার দুঃখে কাঁদে;বৃক্ষ-মৎস্য-ভূমিও
কাঁদলেনা তুমি শুধু;কাঁদলেনা একটুকুও।

কী যে হবে শেষটায়

মানুষ গুলি মরছে যখন
অনাহারে-তেষ্টায়
ঠিক তখনি মরছে মানুষ
বোমায় সারা দেশটায়।
জানে মানুষ লুকিয়ে কারা
জঙ্গীবাদের বেশটায়
তবু তাদের যায়না রোখা
শতজনের চেষ্টায়
কেউ জানেনা দেশটাতে
কী যে হবে শেষটায়!

ঝর্ণা

 

ঝর্ণা কেঁদে কেঁদে নদী হয়
নদী হয় সমুদ্র
সমুদ্র কেঁদে কেঁদে হয় মেঘ
মেঘ হয় বৃষ্টি
আমি কেঁদে কেঁদে হই অন্ধ
হারাই চোখের দৃষ্টি।

স্বপ্নের ভেতর

যেখানে প্রসূতির বুক
কাঁপেনা ধূক ধূক
ক্ষুধা দারিদ্রের ভয়ে
যেখানে কিশোরীরা
হয়না দিশেহারা
লাম্পট্যের জয়ে!
আমি সে দেশে যাবো।
আমি সে দেশে যাবো।
আমি সে দেশে যাবো।
আমি সে দেশে যাবো।
.
.
.
.
.
.
.
.
অনেক খোঁজার পর পেয়েছি খবর
সে দেশ আজে স্বপ্নের ভেতর।

দ্বন্দ

কবিতার গায়ে কামনার গন্ধ
জীবনের পায়ে সুখের ছন্দ
ভাবুকের গোয়েন্দা চোখ আজ অন্ধ
আকাশের মাঝে বিশাল এক চন্দ
সংঘাত রক্তরণ সবই আজ বন্ধ
সুখে আছে বস্তির গরীব ঐ নন্দ।

সব ভালর মাঝে কেবল তোমার আমার দ্বন্দ
কি এমন কাজ করেছি মন্দ?

দুচোখে জলের ঢেউ

 

লাশের ভিতর লাশ
থাকে বারোমাস
দেখার নেই কেউ,
জীবনের সব আশ
নেয় শুধু পরবাস
দুচোখে জলের ঢেউ!